• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ নেতার কাছে পাওনা টাকার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ইট ভাটা মালিকরা ৬ কোটি টাকার মার্কেট শ্রমিকদল নেতার দখলে, তুলছেন ভাড়া কালিয়াকৈর তারুণ্য মেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বেরোবি ইংরেজি বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সভাপতি সোহেল, সাধারণ সম্পাদক শামিম বাংলাদেশে হাত বোমা ছুড়লো ভারতীয়রা, কেটে ফেললো শতাধিক গাছ ১৭ বছর পর কারামুক্ত লুৎফুজ্জামান বাবর কুষ্টিয়ায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াত কর্মীর মৃত্যু বেরোবির বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতির নেতৃত্বে সজীব-মুবিন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জাসদের হামলায় জামায়াতের ৩৫ জন রক্তাক্ত জখম

মায়ের মানতে ৭ বিয়ে কুষ্টিয়ার রবিজুলের

Reporter Name / ২৩০ Time View
Update : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

মোঃ সাবিউদ্দিন: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম বিয়ে করেছেন, একটি, দুটি নয়, সাতটি। সাত বউকে নিয়ে সুখেয় আছেন রবিজুল ইসলাম (৩৯)। মিলেমিশে একই বাড়িতে থাকছেন ৭ স্ত্রীরা । রবিজুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে।

তার স্ত্রীরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বল পুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।
রবিজুল ইসলাম বলেন, আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান। আমার একটা সমস্যা ছিলো। সেই সমস্যার বিষয়টি আমি জানি না।

আমার মা মানত করেছিল যে, ‘ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবে’। মায়ের মনের আশা পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাইই খুশী। সাতটি বউই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। সকল স্ত্রী আমার আদর যত্ন নেন এবং খুব ভালোবাসেন। সারাদিন সবাই একসাথে কাজকর্ম করে এবং রাতে বাড়ির পৃথক পৃথক ঘরে থাকেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না। তিনি আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এছাড়াও কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি ড্রাইভারি করি এসব ড্রাইভিং শেখায়। এসব উপার্জন দিয়ে আমার সংসার চলে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করি। তার দুইটা ছেলে সন্তান রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করি। তার এক মেয়ে সন্তান আছে। এক বছর আগে স্বপ্নাকে বিয়ে করি। তিনমাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেছি। খোঁজ খবর নিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। সবাই খুবই ভালো। পরস্পর আপন বোনের মতো সম্পর্ক সবার। কখনো ঝগড়াঝাটি করে না। একসাথে মিলেমিশে কাজ করে, সংসার করে।

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছে। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করে। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে।

তার স্ত্রীরা জানান, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সাথে সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। কেউ কম কাজ করল বা বেশি কাজ করল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা জেনে শুনে বিয়ে করেছি। আমাদের মন খারাপ হয় না। আমাদের স্বামী এমন কিছু করেন না যাতে আমাদের মন খারাপ হবে। স্বামী খুবই ভালো মানুষ।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!