• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ নেতার কাছে পাওনা টাকার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ইট ভাটা মালিকরা ৬ কোটি টাকার মার্কেট শ্রমিকদল নেতার দখলে, তুলছেন ভাড়া কালিয়াকৈর তারুণ্য মেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বেরোবি ইংরেজি বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সভাপতি সোহেল, সাধারণ সম্পাদক শামিম বাংলাদেশে হাত বোমা ছুড়লো ভারতীয়রা, কেটে ফেললো শতাধিক গাছ ১৭ বছর পর কারামুক্ত লুৎফুজ্জামান বাবর কুষ্টিয়ায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াত কর্মীর মৃত্যু বেরোবির বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতির নেতৃত্বে সজীব-মুবিন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জাসদের হামলায় জামায়াতের ৩৫ জন রক্তাক্ত জখম

হাসানুল হক ইনুর রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে পরেছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: / ৬৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের একছত্র অধিপত্যে ভেঙে পরেছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। চেয়ারম্যান সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ট্রাস্টি কমিটি তিন বছর অন্তর পরিবর্তনের নিয়ম থাকলেও ৯ বছরে পরিবর্তন না হওয়ায় অন্তদ্বন্দ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ট্রাস্টিদের মধ্যে।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী ভাবে অনুমোদনের পূর্বে ট্রাস্ট নিবন্ধনের শুরুতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৪ জন। বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি আজীবন বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন তার মৃত্যুর পর উত্তরসূরীর মধ্য হতে একজন আজীবন চেয়ারম্যান থাকবেন। এরকম বংশ পরম্পরায় বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ ইনু পরিবারের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে। এমনকি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত এ ধারা চলমান থাকবে। তবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান, ট্রেজারার ও সদস্য সচিব পদ তিন বছর অন্তর নির্বাচনের বিধান রয়েছে নিবন্ধিত ট্রাস্ট দলিলে।

২০১৫ সালে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিবন্ধিত হওয়ার পর ০৯ বছর অতিক্রম হতে চলেছে। নিয়ম অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান, ট্রেজারার ও সদস্য সচিবের পদ তিনবার পরিবর্তন হবার কথা। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বোর্ডের চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর সাথে যোগসাজশে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যান্য সদস্যদের মতামতকে উপেক্ষা করে কমিটি পুনর্গঠনের এজেন্ডা  মিটিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে দেননি। একাধিকবার এজেন্ডাটি মিটিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হলে ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম উত্থাপন করতে দেননি।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্য কোন সদস্যের মতামতকে তোয়াক্কা করেন না। প্রফেসর ড. মোঃ জহুরুল ইসলাম ২০২৩ সাল থেকে ছুটি নিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এখন আরো এক বছর সময় বৃদ্ধির জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকটে আবেদন করেছেন। ছুটি মঞ্জুরীর বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব কোন বিওটি সদস্যকে দিয়ে যাননি। তিনি আমেরিকা বসেই অন্য সকল বিওটি সদস্যকে অন্ধকারে রেখে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুগত প্রশাসনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য বোর্ড ট্রাস্টিজের সভায় একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক তিনটি কমিটি গঠন করা হয় । একাডেমিক কমিটির ২ জন সদস্যর মধ্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. আবু সাঈদ মোহাম্মাদ আলী। প্রশাসনিক কমিটির ৩ জন প্রফেসর ড. হালিমা খাতুন, ফজলে রব্বানী ও মনিরুজ্জামান। এবং আর্থিক কমিটির ২ জন সদস্য ড. শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ও জুলফিকার আলী। কিন্তু তিনটি কমিটির ৭ জন সদস্যের মধ্যে শুধুমাত্র ড. জহুরুল ইসলাম ও জনাব ফজলে রব্বানী ছাড়া আর কোন সদস্যের মতামত, পরিকল্পনা ও পরামর্শ গ্রহণ করা হয় না। ড. জহুরুল যা বলেন, সেটিই আইন হয়ে যায়, সেটিই গ্রহণযোগ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে। ড. জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মোছাঃ ইসমত আরা খাতুন ছুটি নিয়ে আমেরিকাতে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তার অর্জিত ছুটি শেষ হওয়ায় বেতন পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি ড. জহুরুল ইসলামের স্ত্রী হওয়ার কারণে  বেআইনিভাবে প্রতি মাসে তার একাউন্টে বেতন জমা  হচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থ কমিটির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সেটি প্রশাসনের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়নি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ(বিওটি) ‌এর ১ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর ছেলে সুমিত আশফাকুল হক নতুন ভাবে বিওটি সদস্য হয়েছেন। আর ড. জহুরুল ইসলামের কন্যা তোরসা জহুর ড. মোছাঃ ইসমত আরা খাতুনের স্থলে বিওটি সদস্য হয়েছেন। কিন্তু বিওটি চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু বর্তমানে বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে থাকায় নতুনভাবে বিওটি দলিল নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি কারাগার থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুনভাবে দলিল রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে প্রথম নিবন্ধিত ট্রাস্ট দলিল আইনত বহাল আছে। নিয়ম অনুযায়ী রদবদল হওয়া সদস্যরা নিবন্ধিত ট্রাস্টি নন। ফলে বিওটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ড. ইসমত আরা খাতুন একজন বিওটি সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন অনুযায়ী একজন বিওটি সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বেতনভুক্ত পদে থাকতে পারেন না। অথচ ড. ইসমত আরা খাতুন ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে এখনো কর্মরত। নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় ট্রাস্ট দলিল নিবন্ধিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বিওটি সদস্য। সেহেতু কোন ভাবেই ডক্টর ইসমত আরা খাতুনের সহকারী অধ্যাপক কিংবা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সকল অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের  মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পরেছে।

বিষয়গুলো জানতে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাজাহান আলীকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!