• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
জলঢাকায় পাথরবোঝাই ট্রাকে তল্লাশি, মাদক সহ চালক আটক কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুফতি আমীর হামজা দীর্ঘ অনুপস্থিতির অভিযোগে পবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড রংপুরে মানবাধিকার ও যুবসমাজের ভূমিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের বিতরণ ও আলোচনা বিষয়ক সেমিনার বেরোবির একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানের আভাস যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাবার নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স, যা বললেন আসিফ মাহমুদ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : এক যুগেও মেলেনি বিচার

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের বিতরণ ও আলোচনা বিষয়ক সেমিনার

বেরোবি প্রতিনিধি / ৬৪ Time View
Update : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক জুলাই বিপ্লবের উপর তৈরি করা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের বিতরণ ও আলোচনা বিষয়ক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারটি কেবল সেই ভয়াবহ দিনগুলোর নির্মম সত্য উন্মোচন করেনি, বরং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দৃঢ় অঙ্গীকারের জন্ম দিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে সমগ্র সচেতন সমাজে অনুরণিত হয়েছে।
১৫ মে, ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের গ্যালারি রুমে আয়োজিত এই সেমিনারটি জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরস অফিস (ইউএনআরসিও)-এর সক্রিয় সহায়তায় এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর নিবেদিত তত্ত্বাবধানে সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই আয়োজনটি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং এটি ছিল সেইসব মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতির প্রকাশ, যারা জুলাইয়ের অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ্য উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শওকাত আলী। তার উপস্থিতি এবং মূল্যবান বক্তব্য সেমিনারের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ অতিথি হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান। তার বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রেক্ষাপটে জুলাইয়ের ঘটনার তাৎপর্য তুলে ধরে। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা পরিচালক প্রফেসর ড. ইলিয়াস প্রামাণিক, যিনি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক দিক থেকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন; সহকারী প্রক্টর ড. আবদুল্লাহ আল মাহাবুব, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত; শহীদ ফেলানী হলের প্রভোস্ট ড. সিফাত রুমানা এবং মানবাধিকার সহায়তা সোসাইটির নিবেদিত নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম, যিনি ভুক্তভোগীদের আইনি ও মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। সেই কালো রাতে স্বজন হারানো নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এবং যারা সেদিন আহত হয়েছেন, সেই সাহসী যোদ্ধারাও তাদের হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তুলে ধরেন, যা উপস্থিত সকলের হৃদয় নাড়া দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে এবং জুলাইয়ের মর্মান্তিক ঘটনা ও জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের উপর তাদের গভীর অনুভূতি ও সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করে। তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, তরুণ প্রজন্ম মানবাধিকারের প্রশ্নে কতটা সংবেদনশীল।
সেমিনারের গভীরে:
এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিক জনসাধারণের কাছে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং এর সুপারিশগুলো নিয়ে একটি গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা করা। জুলাই মাসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও এর সংলগ্ন এলাকায় সংঘটিত অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর একটি নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ তদন্তের ফসল এই রিপোর্টটি। রিপোর্টের প্রতিটি তথ্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যাতে কোনো প্রকার ভুল বা অতিরঞ্জন না থাকে।
রিপোর্টটিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে:
• শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর আকস্মিক ও নির্বিচারে চালানো দমন-পীড়ন এবং এর ফলস্বরূপ বহু মূল্যবান জীবনের অপচয় ও অসংখ্য মানুষের গুরুতর আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা।
• সেদিন যারা অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন এবং বন্দি অবস্থায় অকথ্য ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
• ঘটনার সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহে কী ধরনের অগণতান্ত্রিক বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল, যা জনগণের জানার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।
• মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা, যা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়।
• ভবিষ্যতে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি, কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা, যাতে আর কোনো নিরপরাধ মানুষের জীবন বিপন্ন না হয়।
বক্তাদের হৃদয়স্পর্শী ভাষ্য:
• শহীদ আবদুল্লাহ আল তাহিরের মায়ের গভীর আর্তি: শহীদ আবদুল্লাহ আল তাহিরের শোকাহত মা তার নয়নের মণি পুত্রের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার প্রতিটি শব্দে ঝরে পড়ে গভীর বেদনা ও অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি বলেন, “আমার তাহের ছিল এক অমায়িক, শান্ত ও মেধাবী ছেলে। তার মিষ্টি ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তার সহপাঠীরা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে এসে আনন্দ করত। আজ আমার সেই আদরের ধন আর নেই। আমি শুধু চাই, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টে আমার ছেলের যে আত্মত্যাগের কথা ন্যায়সঙ্গতভাবে লেখা হয়েছে, তার যেন সঠিক ও দ্রুত বিচার হয়। যারা আমার কলিজার টুকরাকে কেড়ে নিয়েছে, আমি তাদের কঠোরতম শাস্তি দেখতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।”
• উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শওকাত আলীর দৃঢ় অঙ্গীকার: বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শওকাত আলী তার বক্তব্যে বলেন, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা ন্যায়নীতি, মানবাধিকার ও মুক্তচিন্তার এক অটল স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা এমন একটি উদার ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের সৃজনশীলতা ও মতামত দ্বিধাহীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে। জুলাই মাসের সেই কালো রাতে আমরা আমাদের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদকে অন্যায়ভাবে হারিয়েছি। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা সেই রিপোর্টের প্রতি পূর্ণাঙ্গ সম্মান জানাই এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করছি, আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে আর কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন বঞ্চনা, বৈষম্য বা নির্যাতনের শিকার না হয়।”
• জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খানের বিশ্লেষণ: জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান তার জ্ঞানগর্ভ ও বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্যে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের গুরুত্ব এবং এর সুদূরপ্রসারী তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘের এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট কোনো গতানুগতিক দলিল নয়, এটি একটি রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির বাস্তব, বস্তুনিষ্ঠ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিত্র। এই রিপোর্টে জুলাই মাসের ঘটনাপ্রবাহের যে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্টতই দেখা যায় যে, সেদিন রাষ্ট্রের কিছু সংস্থা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলপ্রয়োগ করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট ও গুরুতর লংঘন। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সরকার এই রিপোর্টের প্রতিটি যৌক্তিক সুপারিশ অত্যন্ত মনোযোগের সাথে বিবেচনা করবে এবং যারা সেদিন অমানবিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুত, কার্যকর ও দৃশ্যমান ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।”
• মানবাধিকার সহায়তা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামের আহ্বান: মানবাধিকার সহায়তা সোসাইটির নির্ভীক ও নিবেদিত নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম তার আবেগপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, “মানবাধিকার সহায়তা সোসাইটি জুলাই মাসের সেই কঠিন ও সংকটময় সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও তাদের আইনি ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত এবং যারা সেদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন গর্হিত কাজ করার সাহস না পায়।”
• আহত যোদ্ধাদের করুণ ভাষ্য: সেমিনারে উপস্থিত কয়েকজন সাহসী যোদ্ধা তাদের শরীরে বয়ে বেড়ানো দীর্ঘস্থায়ী আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে সেই ভয়াবহ রাতের লোমহর্ষক ও মর্মান্তিক বর্ণনা দেন। তাদের প্রতিটি কথায় উঠে আসে সেদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ এবং গ্রেফতারের পর তাদের উপর চালানো অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিভীষিকা। তাদের করুণ কাহিনী শুনে সেমিনারে উপস্থিত সকলের চোখে জল এসে যায় এবং এক গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
• শিক্ষার্থীদের দৃঢ় প্রত্যয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ও প্রতিবাদী তরুণ শিক্ষার্থীরাও তাদের বলিষ্ঠ ও স্পষ্ট মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট তাদের জন্য ন্যায়বিচারের এক নতুন ও উজ্জ্বল আশা নিয়ে এসেছে এবং তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই রিপোর্টের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন কোনো শিক্ষার্থীকে আর এভাবে অন্যায়ভাবে জীবন দিতে না হয়, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এই বিস্তারিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে, জুলাই মাসের সেই অন্ধকার সময়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ও গভীর চিত্র এবং জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আরও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সেমিনারটি শুধু অতীতের ভুলগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়াই নয়, বরং ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত ও অবিচল প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপরও এক জোরালো বার্তা দেয়।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!